মেয়ে সন্তান কত মাসে হয় - মেয়ে সন্তান হওয়ার লক্ষণ সমূহ
ঠিক কখন বা কোন তারিখে গর্ভের শিশুটি ভূমিষ্ঠ হবে, এটা নিয়ে গর্ভবতী ও তার পরিবার চিন্তিত থাকেন। যদিও কিছু দরকারী তথ্য না জানার কারণে এরকম হয়তো চিন্তায় পড়তে হয়। তাছাড়া অনেকে ডেলিভারির তারিখ ও পার হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে, সেক্ষেত্রে যোগ হয় আরেকটা চিন্তা। গর্ভবতীদের এই চিন্তাগুলো দূর করার জন্য আজকের পোস্টটি। আশা করি মনোযোগ সহকারে দেখবেন।
নরমাল ডেলিভারি কখন আসা করা যায়?
এই প্রশ্নের সহজ উত্তর হল, সাধারণত ৩৮ থেকে ৪২ সপ্তাহের মধ্যবর্তী যে কোন সময় সন্তান প্রসব হতে পারে। এ সময়ে যে সকল শিশু জন্ম নেয় তারা স্বাভাবিক সময় জন্ম নিয়েছে ধরা হয়। আর ৩৮ সপ্তাহ শুরু হওয়ার আগে শিশু জন্ম নিলে তাকে অপরিপক্ক শিশু বলা হয়। যাদেরকে বিশেষ পরিচর্চায় রাখার প্রয়োজন পড়ে।
আর গর্ভকাল গেলেই ৪২ সপ্তাহ পার হওয়ার ঘটনা তেমন ঘটে না। তবে যদি ৪২ সপ্তাহ শেষেও সন্তান প্রসব না হয়, সেক্ষেত্রে গর্ভবতীর আর অপেক্ষা করা উচিত নয়। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে। ডাক্তাররা কৃত্রিম ভাবে প্রসব ব্যথা তুলে সন্তান ভূমিষ্ঠ করার চেষ্টা করবেন নতুবা সিজারে প্রয়োজন হতে পারে।
এবার ডেলিভারি তারিখ বা ডিউ ডেট বা ইডিডি ডেট বিষয়ে জানা প্রয়োজন। গর্ভবতী আলট্রাসনো করার পর ডাক্তাররা একটি ডেলিভারি তারিখ লিখে দেন। ঠিক ওই তারিখের সন্তান প্রসব হবে, কতটা গ্যারান্টি আছে। মূলত এটি একটি সম্ভাব্য ডেলিভারির তারিখ। এই তারিখে সন্তান প্রসব হতেও পারে আবার নাও হতে পারে। তবে হুবহু ডেলিভারি তারিখের সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার ঘটনা খুবই কমই ঘটে।
একজন নারীর গর্ভকাল 40 সপ্তাহ বা ২৮০ দিন বা ৯ মাস ১০ দিনের হয়ে থাকে। এখানে মাসকে ৩০ দিন ও সপ্তাহকে সাত দিন ধরা হয়েছে। এই দিন গণনা শুরু হয়, নারীদের শেষ পিরিয়ডের প্রথম দিনের তারিখ হতে। মূলত দিন গণনা শুরু করা উচিত, যেদিন একজন নারীর ডিম্বানুর সাথে পুরুষের শুক্রাণু মিলিত হয়েছিল, সেই দিন থেকে। কিন্তু কবে এই নিষিক্তকরণ ঘটেছে বলা অনেকটা কঠিন। তাই শেষ পিরিয়ডের প্রথম দিনের তারিখ হতে পারো না করা হয়।
যেহেতু গর্ভবতীর গর্ভকাল 100% সঠিক গণনা করা যায় না, সেহেতু ঠিক কবে ডেলিভারি হবে সেটা বলাও কঠিন। আমার এখানে আরেকটা সমস্যা হল, অনেক নারী পিরিয়ড অনিয়মিত। তাদের ক্ষেত্রে ডেলিভারি তারিখ নিয়ে আরো গরমিল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাহলে প্রশ্ন আসতে পারে, ডাক্তার আলট্রাসনো পরীক্ষায় কিভাবে ডেলিভারি তারিখ উল্লেখ করেন?
আল্ট্রাসনো পরীক্ষায় ডাক্তাররা গর্বের বাচ্চার মাথা থেকে পা পর্যন্ত দৈর্ঘ্য, পেটে ব্যাসার্ধ, মাথার ব্যসার্ধ সহ এরকম আরো কিছু বিষয় পরিমাপ করে। এই তথ্যের ভিত্তিতে সম্ভাব্য একটি ডেলিভারি তারিখ উল্লেখ করেন। তাহলে এখন বুঝতে পারছেন, আলট্রাসোনিক পরীক্ষায় তারিখ ও ১০০% সঠিক নয়। তাই একেক বারের আলট্রাসতে ভিন্ন ভিন্ন ডেলিভারি ডেট পাওয়ার ঘটনা ঘটে।
পুরো বিষয়টি শোনার পর আপনি হয়তো দ্বিধায় পড়তে পারেন, তাহলে ডেলিভারি কবে সেটা জানা একেবারে অসম্ভব? এর জন্য পুষ্টির প্রথম দিকে বলেছিলাম ৩৮ থেকে ৪২ সপ্তাহের মধ্যবর্তী যেকোনো সময় সন্তান হতে পারে। তাই একজন গর্ভবতী ও তার পরিবারকে আগে থেকে সকল প্রকার শারীরিক, মানসিক, আর্থিক প্রস্তুতি রাখা উচিত।
মেয়ে সন্তান হওয়ার লক্ষণ সমূহঃ
পৃথিবীতে সব বাবা মায়েরায় তাদের সন্তানকে খুব ভালোবাসেন। এমন কোন বাবা মাকে পাওয়া যাবে না যারা নিজেদের সন্তানের ভালো চাই না। সকলেই নিজের সন্তানকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতে থাকে। অনেকেরই সন্তান জন্ম নেওয়ার আগে জানার ইচ্ছা থাকে যে সে সন্তান ছেলে হবে না মেয়ে?
কিছু কিছু উপায় আছে যা অবলম্বন করলে আপনি জানতে পারবেন আপনার গর্ভের সন্তান ছেলে হবে নাকি মেয়ে।
গর্ভাবস্থায় যদি আপনি দেখেন আপনার চুল খুব পাতলা ও উজ্জ্বলতা হীন হয়ে পড়েছে তাহলে আপনি একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তানের জন্ম দিতে চলেছেন। ঠিক উল্টোটা যদি হয় মানে আপনার চুল গর্ব অবস্থায় আরো সুন্দর হয়ে উঠলে বুঝতে হবে আপনার ভাবে পুত্র সন্তান আছে।
গর্ভকালীন অবস্থায় আপনার যদি মিষ্টি কোন জিনিস খেতে ইচ্ছে করে, যেমন চকলেট, মিষ্টি, আইসক্রিম ইত্যাদি ইত্যাদি তাহলে আপনি খুব তাড়াতাড়ি একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দিতে চলেছেন। আর আপনি যদি দেখেন আপনার নোনতা খাবার খেতে ইচ্ছা করছে তাহলে আপনি পুত্রের সন্তানের মা হতে চলেছেন।
গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন অসুবিধা দেখা দেয়। তার মধ্যে অন্যতম হলো সকালে মর্নিং সিকনেস অনুভব হওয়া। এই সময় বেশ অলস লাগে। এই অলসতা থেকে আপনি জানতে পারবেন আপনার সন্তান কি হতে চলেছে। গর্ভে যদি পুত্র সন্তান থাকে তাহলে কম অলসতা লাগে আর যদি কন্যা সন্তান থাকে তাহলে বেশি অলস মনে হয়।
আশা করছি আমার এই পোস্টটি আপনার উপকারে আসবে। পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার মতামত কমেন্ট করে যাবেন। আপনার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি, আল্লাহ হাফেজ।
ডোট ব্লগারের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url