""

নিজেকে পরিবর্তন নিয়ে উক্তি,

কেমন লাগবে যদি সামনের সাত দিনে তোমার পুরো জীবন বদলে যায়? ভালোই লাগবে তাই না, ঠিক এরকম ভালোলাগা কাজ করবে তোমার মধ্যে আমার এই পোস্টটি পড়ার পরে। আজকে আমরা লাইফের এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করব যা তোমার পুরো জীবনকে বদলে দিবে, মাত্র ৭ দিনে। এই পৃথিবীতে কোন মানুষের ভ্যালু ততক্ষণ কেউ দেয় না যতক্ষণা সে অনেক মূল্যবান কেউ হয়। আর হ্যাঁ যদি রুলস রয়েলস গাড়িকেও আলাদা আলাদা পার্ট থেকে এক লাঞ্চারী গাড়িতে পরিণত করা যায় তবেই সেই গাড়ি পৃথিবীর সবচেয়ে দামি গাড়িতে পরিণত হতে পারে। তোমাদের সবার সাথেই হয়তো এমন হয়েছে কখনো না কখনো তুমিও কারো কাছে অবহেলার শিকার হয়েছো। তুমি যখন মানুষের কাছে যাও তখন মানুষ কিছু সময় এর জন্য তোমার সাথে ভালো ব্যবহার করে তারপর ইগনোর করে। তখন তুমি পৃথিবীতে এতগুলো মানুষ থাকা সত্ত্বেও নিজেকে একা মনে কর বা কারো সঙ্গী হওয়ার জন্য আফসোস করো।
নিজেকে পরিবর্তন নিয়ে উক্তি,

সূচিপত্রঃ নিজেকে পরিবর্তন নিয়ে উক্তি। এই ৫ টি স্টেপ মেনে চলুন

তোমার মন থেকে খারাপ লাগে যে যদি আমি এরকম না হতাম তাহলে আর যাই হোক নিজের চোখে নিজে উপরে থাকতাম। কোন ব্যাপার না যে এখন পর্যন্ত হয়নি তা এখনো হবে। এই পোস্টটি পড়ার পরে তোমার লাইফ স্টাইল অবশ্যই চেঞ্জ হবে শুধুমাত্র খেয়াল রাখবে আগামী সাত থেকে আট মিনিট তোমার ৭০ বছরের কাজে আসবে। তাহলে এই ৭-৮ মিনিটের জন্য মোটেও কিপটামি করবে না। এখন থেকে এই পাঁচটি টিপস তোমার মনের মধ্যে গেঁথে নাও।

১. ফোন অফ, স্কিন অফ  and মোড অন।০১

 এত তাড়াতাড়ি কেন মানুষের মাথা ব্যাথা শুরু হয়ে যায় ?এর কারণ হচ্ছে মোবাইল ফোন। মানুষের ঘুমের যে কোয়ালিটি তা এত খারাপ কেন? এর কারণ হচ্ছে মোবাইল ফোন। মানুষের ফোকাস কন্সেন্ট্রেশন মানসিক শক্তি ডেডিকেশন লেভেল দিন দিন এত কমে যাচ্ছে কেন? এর কারণও হচ্ছে মোবাইল ফোন। রাত হয় ঘুমানোর জন্য কিন্তু আদৌ মানুষেরা এর ভ্যালুও  জানে না। যতক্ষণ না হাত থেকে মোবাইল মুখের উপর না পরে, যতক্ষণ না মোবাইলের চার্জ শেষ হয়, ততক্ষণ মোবাইল টিপতেই থাকে। আসলে কথা শুধু ঘুমানোর  নয়। পরের দিন সকালে সে যখন ঘুম থেকে উঠে সে তখনও ঘুম ঘুম চোখে আগে মোবাইলটাই খুঁজে আর মোবাইল টিপা শুরু করে। চোখ ব্যথা, মাথাব্যথা আর মাথায় প্রচুর চাপ পড়ে এই মোবাইল ফোনে জন্য। তাই আগামী এক সপ্তাহ চেষ্টা করো এই মোবাইল ফোন থেকে দূরে থাকার। তারপরে দেখো তোমার কাজও হবে পড়াশোনা হবে নিজের হেল্ত ও ভালো থাকবে।

২. NO FAP.০২

 আমি জানি যেতোমাদের মধ্যে যারা আছো তারা বেশিরভাগই স্টুডেন্ট। যাদের এখন বারন্তি বয়স । আর এই জিনিসটা অনেক নরমাল এবং ন্যাচারাল যে তোমার অনেক খারাপ জিনিস এ মন যাচ্ছে। আর এটা তোমার মনে  হতে পারে যে এটা তোমার ভুল নয়।

 কারণ এই বয়সে অনেক কিছু আমাদের মাথার ভিতরে আসে , অনেক খারাপ চিন্তা ভাবনা আমাদের মাথার ভিতরে ঘুরপাক খায়। তবে ভুল হবে এটাই যদি তুমি এটাকে এখনো কন্ট্রোল না করো। আর ওই খারাপ অভ্যাসটাকে তুমি সুযোগ দিচ্ছ আর এতে তুমি আসক্ত হয়ে যাচ্ছ।

 তুমি হয়তো বুঝতে পারছ আমি কিসের কথা বলছি। তুমি ঘুমাতে পারছ না রাত গভীর হয়, তোমার ফোনের স্কিন জেগে থাকে, তুমিও জেগে থাকো, অনেকেই জেগে থাকে। কি দেখো জেগে জেগে কি কর সেটা বলার আর অপেক্ষা থাকেনা, হ্যাঁ বলতে পারো যে মাঝে মাঝে তবে দেখছো ঠিকই আর খারাপ জিনিস দিয়ে মাথা ভরে রাখছো, তাহলে বন্ধু আমি দুঃখিত তোমার সামনে জীবন আরো বেশি কঠিন হতে চলেছে।

 তোমাদের সবার মনে প্রশ্ন সেটা কিভাবে? চলুন জেনে নি- তোমার এক জায়গায় ১০ থেকে ১৫ মিনিটের বেশি মন টিকবে না ,আর কখনোই তোমার মনের মধ্যে ভালো জিনিস আসবেনা। কখনো কোন মেয়ে যদি পাশ দিয়ে হেঁটে যায় তখন তার দিকে তোমার খারাপ নজর থাকবে। কিন্তু পরে তুমি সব বুঝতে পারবে লজ্জায় তোমার মাথা কাটা যাবে, মরে যেতে ইচ্ছে করবে আর এর ফলে তোমার ধীরে ধীরে চেহারার উজ্জ্বলতা কমে যাবে।

 নিজের চোখে নিজেকে ২৫ বছরের জায়গায় ৫০ বছরের মত লাগবে। আর সব জায়গায় নিজেকে খাপ খাওয়াতে অনেক কষ্ট হবে। এভাবে চলতে থাকলে না জীবনে ভালো কিছু করতে পারবে না ভালো কিছু হতে পারবে। তখন পরে তোমার পুরো জীবন আফসোস করতে করতে কেটে যাবে।

 এজন্য এসব জিনিস যত তাড়াতাড়ি ছেড়ে দেওয়া যায় ততোই তোমার জন্য এবং তোমার শরীরের জন্য ভালো। আগামী এক সপ্তাহ এসব বন্ধ করতে হবে। সবকিছু ভালোভাবে মেনটেন করতে হবে। তাই এটাকে এখন থেকে বন্ধ করো আর জীবনকে একটি সুন্দর রুটিনের মধ্যে আবদ্ধ করে নাও। আর এটাই হবে তোমার জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত।

আরো পড়ুনঃ প্রেমে পড়লে কি হয়?আসুন মূল 10+ লক্ষণ জেনে নিয়া যাক।

৩. PRACITICE  YOUR  TIME  MANAGEMENT  SKILL .০৩

 মানুষের সময় খারাপ যায় শুধুমাত্র এজন্যই কারণ সে সঠিক সময়ে তার নিজের কাজ শেষ করতে পারে না। বরং ওটাকে টেনে টেনে আরো ডিফিকাল্ট করে ফেলে। আর যখন পিছনে ফিরে তাকায় তখন কাজের পাহাড় হয়ে যায়। আর এতটাই কাজ জমে থাকে যে মানুষ এই কাজের প্রেসারে ধীরে ধীরে ধ্বংস হওয়া শুরু করে।

 পৃথিবীর সব স্কিল একদিকে আর সময়কে সঠিকভাবে মেনটেন করার স্কিল এক দিকে। আমি তোমাকে বলে দিচ্ছি একজন স্টুডেন্ট কেন পরীক্ষায় ফেল করে কারন সে টাইম ম্যানেজ করতে জানে না। কেন একজন এমপ্লয়ি চাকরি থেকে আউট ডিলিট হয়? কারণ সে তার টাইম কে ভালোভাবে ম্যানেজ করতে পারে না। একজন ছেলে কেন বেকার থেকে যায়? কারণ তার হাতে যখন সময় ছিল তখন সে ওই সময় সুযোগ নি।

 টাইম ম্যানেজমেন্ট একটা এরকম স্কিল এটা যদি কারো কাছে থাকে তাহলে সে মানুষটা কত কিছুই না করতে পারে। আগামী এক সপ্তাহে আরেকটা ছোট  শর্ত হলো টাইম ম্যানেজ করা শুরু করো।

 আর এটা কিভাবে করবে?  প্রথমে দুইটি টাইম ফিক্সড করো রাতে তাড়াতাড়ি শোবার আর সকালে তাড়াতাড়ি উঠার। প্রথম প্রক্রিয়াটা ফলো করো এতে তোমার এনার্জি হবে তা থেকে। তারপর যখনই তুমি ঘুম থেকে উঠবে সকাল পাঁচটা, ছয়টা, সাতটা বাজে উঠে ফ্রেশ হও এবং নাস্তা করে নাও। এরপর যত ডিফিকাল্ট এবং ইম্পরট্যান্ট কাজ আছে সকাল আটটা থেকে বারোটার মধ্যে শেষ করো।

আরো পড়ুনঃঅতিরিক্ত হস্তমৈথূন করলে কি হয়?হস্তমৈথুন ছাড়ার ১৫ টি উপাই

 যা মানুষ পুরো দিনেও করতে পারেনা তা তুমি চার ঘন্টায় করতে পারবে। কারণ তোমার মন এবং মাইন্ড একদম ফ্রেশ থাকবে। যার জন্য তোমার কাজ অনেক তাড়াতাড়ি হবে। টাইম মত কাজ শেষ করা অথবা টাইম এর আগে কাজকে শেষ করে ফেলা এটাকেই তো গুড টাইম ম্যানেজমেন্ট বলে।  আগামী  এক সপ্তাহের জন্য মনে মনে একটু একটু প্র্যাকটিস করো। আস্তে আস্তে তুমি বুঝতে পারবে তোমার সব কাজ শেষ হওয়ার পরও তোমার কাছে অনেক ভালো সময় রয়ে গেছে। আর শুধুমাত্র এই পয়েন্টের জন্য তোমার সময় ভালো হওয়া শুরু করবে।

৪. KILL   OVER   THINKING.০৪

 অনেক বেশি চিন্তা করা। অনেক বেশি চিন্তা করার ফলে যখন আসলে চিন্তা করার সময় আসে তখন মানুষ চিন্তা করতে পারে না। এমনকি মাথা কাজ করা বন্ধ করে দেয়। আর যখনই এরকম হবে তখন মানুষ কষ্টের মধ্যে থাকবে। জানি এটা থেকে বের হওয়া অতটা সহজ নয়, কিন্তু সম্ভব। শুধুমাত্র একটা কথা নিজেকে বল যে যা হবে দেখা যাবে। চার শব্দের এই লাইন সত্যি বলছি একজন মানুষের লাইফ  অনেক টেনশন ফ্রি করে দেবে।আর যখন আমরা জানি যে যত বেশি চিন্তা করবে তার থেকে ৮০% কখনো হয় না। তাহলে ফালতু চিন্তা কেন করবে? তো বন্ধুরা ফালতু চিন্তা করা এই অভ্যাসটা বন্ধ কর তা না হলে এটা তোমাকে শেষ করে দেবে।

আরো পড়ুনঃদ্রুত ওজন বাড়ে কি খেলে।সহজ ১০ টি উপাই

৫.   0  THOUGHT  PRACTICE.০৫

 যেকোনো নেগেটিভ চিন্তা, মানসিক টেনশন, অবসর চিন্তা, এর মাধ্যমে আমি খুব সহজেই বের হয়ে আসতে পেরেছি এবং নিজেকে অনেক পজেটিভ ফিল করেছি। কত ভাল হয় ওই স্পেজে থাকলে যেখানে তোমার মনে একটাও চিন্তা নেই। এটা মেডিটেশন ও এডভান্স লেভেল, অনেক মজার বিষয় হলো যে এটা  অনেক কম মানুষই করতে পারে। 0  THOUGHT এমন একটা জিনিস যেখানে আমরা আমাদের  ব্রেনের হাইয়েস্ট প্রোটেনশিয়াল কে অর্জন করতে পারি। যদি আমরা 0  THOUGHT স্টেট কে অর্জন করতে পারি তাহলে পৃথিবীতে কোন কিছুই ইম্পসিবল থাকবে না।0  THOUGHT প্র্যাকটিস করার ফলে নতুন নতুন innovation করা সহজ হয়ে যাবে কারণ এতে আমাদের ক্রিয়েটিভিটি ইমাজিনেশন সবকিছু অনেক উপর লেভেলে চলে যাবে।

আরো পড়ুনঃ মেয়েদের দ্রুত ওজন কমানোর উপাই

শুধুমাত্র আগামী এক সপ্তাহ একটু একটু প্র্যাকটিস করবে সত্যি মনে অনেক শান্তি পাবে জীবনে যা চাও সব কিছু আস্তে আস্তে অর্জন করতে শুরু করবে। আশা করছি আগামী এক সপ্তাহ পরে আমি এরকম কিছু সুন্দর কমেন্ট পাব যে আপনার পোস্ট পড়ার পর আজ এক সপ্তাহ হল আমার জীবন পরিবর্তন হতে শুরু করেছে। আর এটাকে আমি কন্টিনিউ চালিয়ে যাব। তো বন্ধুরা ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ডোট ব্লগারের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url