""

সাপোজিটরি দেওয়ার পড় বাচ্চার জ্বর না কমলে করনিয়

 নাপা সাপোজিটরি ১২৫

বাচ্চার ১০৩ জ্বর এসছে প্যারাসিটামল দিয়েও কিছুতে জ্বর কমছে না। এই প্রশ্ন এখন ঘড়ে ঘড়ে, আজ বাড়িতে বাচ্চার জ্বর এলে মা-বাবা হিসাবে আপনার কি করনিয় বা কি করবেন এই নিয়ে আমরা আলোচনা করবো। আমি ডক্টর আলেক খান চিনদ্রজীত। বাচ্চার জ্বর এলে, গা গরম হচ্ছে,  এরকম মনে হলে প্রথমেই থ্রার্মো মিটার দিয়ে টেম্পারেজার চেক করবেন। চেক করা হলে কলম দিয়ে একটি কাগজে লিখে রাখবেন। যদি ১০০ ডিগ্রি জ্বর আসে তাহলে প্যরাসিটামল দিবেন। 

image

পোস্টসূচীপত্রঃবাচ্চার প্যারাসিটামল এর ডজ টা ডিফেন্ড করে বাচ্চার ওজনের ওপড়। এবার ধরুন আপনি তিন বা  চার মাস আগে ডাক্তার দেখিয়ে ছিলেন, সেই সময় বাচ্চার একটি ওজন ছিলো সেই অনুযায়ী প্যারাসিটামল দিয়া হয়েছিল। এর পড়ে এখন বাচ্চার জ্বরের সময় ওই ডজটি দিলে হয়তো বাচ্চা ওজন বেরে গেছে তাতে এই ডজে কাজ হচ্ছে না। তো সে ক্ষেত্রে ওজনের রিসেন্টা বা পরিমাপ জানা খুবি জরুরি, কত ওজনে কেমন  ডজ দিতে হবে এটা জানা খুবি প্রয়োজন। 

 ওজন ও ডজের পরিমান

  • ১ থেকে ২ বছরের বাচ্চার জন্য: WEICHT-( 8.2 to 10.8 kg) CONSULT  A Doctor-( 102mg) 4 Does. 
  • ২ থেকে ৩ বছরের বাচ্চার জন্য: WEICHT-(10.9 to 16.3 kg) CONSULT  A Doctor-( 160mg) 4 Does.
  • ৪ থেকে ৫বছরের বাচ্চার জন্য: WEICHT-(16.4 to 16.3 kg) CONSULT  A Doctor-( 240mg) 4 Does.
  • ৬থেকে ৮ বছরের বাচ্চার জন্য: WEICHT-(21.8 to 21.7 kg) CONSULT  A Doctor-( 320mg) 4 Does.
  • ৯ থেকে ১০ বছরের বাচ্চার জন্য: WEICHT-(27.3 to 32.6 kg) CONSULT  A Doctor-( 400mg) 4 Does.
  • ১১ থেকে ১২ বছরের বাচ্চার জন্য: WEICHT-(32.7 to 43.2 kg) CONSULT  A Doctor-( 480mg) 4 Does.
প্যারাসিটামল দিওয়ার পরে অবশ্যই অধা ঘন্টা বা এক ঘন্টা অপেক্ষা করবেন।

জ্বর যদি না কমে তাহলে কি করবেন?

  • প্যারাসিটামল খাওয়ার পরেও জ্বর যদি না কমে তাহলে কলের জলে মাথা ধুয়ে গা মুছে দিবেন এবং আরো কিছুখন অপেক্ষা করবেন।
  • বার বার জ্বর এলে ৪ ঘন্ট অন্তর-অন্তর প্যারাসিটামল খাওয়াতে পারেন।
অযতা প্যানিক করবেন না। প্যানিক করার কোনো দরকার নেই। জ্বর হলেও শরীরের ভিতরে যদি ইনফেকশন বা ইনফামেশন হয় তার বহিপ্রকাশ। দুই তিন রকমের জ্বর ঔষধে মিশ্রণ এক সাথে দিয়ে জ্বরটাকে কোনোভাবে নামিয়ে দিয়া সেইটা কোনো কাজের কথা নয়। ভিতরের ইনফেকশন টাকে ট্রিটমেন্ট করতে হবে।
image


তার জন্য আইবুপ্রোফেন বা মেফেনামিক অ্যাসিড এ জাতীয় ঔষধ না দিয়ে আপনার চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করাই উটিত। আপনার যদি একেবারে ছোট্ট বাচ্চা হয় ৬ মাসের নিচে বয়স তাহরে জ্বর এলে ১০০ ডিগ্রি উপরে জ্বর এলে তাহরে আপনি চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করবেন। যদি আপনার বড় বাচ্চা হয় এবং অল্প জ্বর আসছে যেমন ১০০ বা ১০১, চার পাঁচ বা ছয় ঘন্টা পর পর জ্বর আসছে, তার সাথে নাক বন্ধ হয়ে আছে একটু কাঁশি হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে আপনি দুই দিন অপেক্ষা করতে পারেন। কিন্তু যদি জ্বরের সাথে কিছু কিছু লক্ষণ থাকে তাহলে আপনাকে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে হব।

জ্বরের সাথে যে লক্ষণগুলি থাকলে দেরি করবেন না 

  • কান থেকে পুঁজ বের হলে
  • গলায় খুব ব্যথা থাকলে
  • প্রচন্ড কাশি থাকলে
  • জ্বরের সঙ্গে পেটে ব্যথা হলে
  • সারা গায়ে রেস বের হলে
  • পাতলা পায়খানা সহ বমি হলে
  • প্রস্রাবের সময় জ্বালা বা ব্যথা থাকলে
  • গাঁটে গাঁটে ব্যথা থাকলে
এই সমস্থ ক্ষেত্রে চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা উচিত। 

অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার

জ্বর এসেছে এক দিন দুই দিন হয়ে গেছে, নিজর থেকে কোনো ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক দিবেন না। জ্বরর সাথে কি অ্যান্টিবায়োটিকের দরকার পরে, সেটা ডিপেন্ট করে কি ইনফেকশন হয়েছে তার উপর। ধরুন জ্বরের সাথে গালাই ব্যাথা তাতে যা অ্যান্টিবায়োটিক ব্যাবহার করতে হয়, জ্বরের সাথে লুচকুল হচ্ছে বা ইনফেকশন হচ্ছে সে ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক আলাদা। তো বাড়িতে বা ঔষধের দুকান থেকে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যাবহার না করে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। 
  • বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এর পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক এর ব্যবহার করবেন না, এতে হিতে বিপরীত হতে পারে।
কিছু কিছু বাচ্চার জ্বরের সাথে খিচুনি হয়, জ্বর তরকা বলে যাকে। সেই সমস্থ বাচ্চার ক্ষেত্রে খেয়াল রাখবেন। জ্বর বেশি বাড়তে দিওয়া ঠিক না, তাদের ক্ষেত্রে একটু অ্যরেসিভ ভাবে প্যারাসিটামল 99.5 ডিগ্রি হলে দিয়ে দিয়া উচিত। 

শরীরে জলের মাত্রা কমে গেলে

জ্বরের সাথে যেটা মেইনলি হয় সেটা হচ্ছে ডিহাইডেশন। যদি বাচ্চার হাইফ্রিবার হয় তাহলে বাড়িতে আপনি বাচ্চাকে সবসময় ORS গুলে খাওয়াবেন।
হাই ফিডার থাকলে সাথে ডিহাইড্রেশান থাকে, সে ক্ষেত্রে বাচ্চাকে ও , আর, এস খাওয়াতে ভুলবেন না। 

ভাত নাকি রুটি

জ্বর হলে বাচ্চা রাতে কি খাবে বা দিনে কি খাবে, জ্বরের সাথে এটার কোনো সম্পর্ক নেই। ধরুন বাচ্চার জ্বর এসেছে , লুচকুল হচ্ছে বাচ্চার পেট ভালো নেই এতে আপনি ভাবছেন রাতে বাচ্চাকে ভাত খাওয়ালে হয়তো বেশি সমস্যা হবে বা জ্বর বেড়ে যাবে, এরকম কোনো ব্যাপার নয়। আপনি ভাত খাওয়াতেই পারেন। পেট খারাপের সময় রুটি বা দুধ এসমস্ত জিনিসের থেকে ভাত বেশি প্রেফার করা হয়। ভাত রুটি বা কোনো রকম ফল ধরুন আপেল কলা কোনো কিছু খাওয়ানোর সাথে ঠান্ডা লাগা বা জ্বর আসার কোনো সম্পর্ক নেই। বাচ্চার জ্বররে সাথে ভাত কিংবা রুটি খাওয়নোর কোনো সম্পর্ক নেই।তবে জ্বরের সঙ্গে পায়খানা থাকলে দুধ ও রুটির তুলনায় ভাত শ্রেয়।

বাচ্চার জ্বর হলে কত ‍দিন অপেক্ষ করা উচিত?

লোগ্রেড ফিবার আসছে আসতে আসতে ৫,৬ ঘন্টা পর পর জ্বর আসছে তাহলে আপনি দুই তিন অপেক্ষা করতেই পারেন বাড়িতে। যদি জ্বরে সাথে অন্যান্য অসুস্থতা না থাকে। আর আপনি সব সময় খেয়াল করবেন জ্বরেরর প্যাটানটা। ধরুন আজকে প্রথম দিন জ্বরে ৫ বা ৬ ঘন্টা পর পর জ্বর আসছিলো এবং ১০০ বা ১০১ ডিগ্রি এরকম। দুই নম্বর দিনে ১০৩-১০৪ এরকম জ্বর আসছে আর জ্বরের গ্যাব টা কমে তিন ঘন্টা চার ঘন্টা হয়ে গেছে তাহলে বুঝতে হবে ভিতরে ইনফেকশনটা বারছে। কিন্তু যদি দেখেন জ্বরের গ্যাব আসতে আসতে বাড়ছে, যেমন ধরেন প্রথম দিন ৭ ঘন্টা পরে আসছে পরের দিন ১০ ঘন্টা পরে আসছে এবং জ্বরটা লো গ্রেডে আছে। সে ক্ষেত্রে আপনি বাড়িতে অপেক্ষা করতেই পারেন। ৪৮ ঘন্টার বেশি সময় ধরে যদি বাচ্চার জ্বর থাকে তাবে অপেক্ষা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়া উচিত। এর বেশি কিন্তু অপেক্ষা করবেন না। তিন বা চার দিন জ্বর হচ্ছে সে ক্ষেত্রে অবশই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করবেন। ৫,৬ দিনের বেশি জ্বরে বাচ্চাকে অনেক সময় ভর্তি করাতে হতে পারে, অনেক সময় ইনজেকশন অ্যান্টিবায়োটিক দিয়া লাগতে পারে। 

শেষ কথা

উপরক্ত বিষয়গুলি ভালো করে দেখে নিবেন, কারন বাচ্চাদের শরীর সাস্থের  ব্যাপার। আমরা সকলে আমাদের বাবুদের অনেক ভালোবাসি আমরা চাই না তাদের কোনো সমস্যা হক, সে জন্য পোস্টটি অবহেলা না করে মনোযোগ সহকারে পড়বেন। ধন্যবাদ 


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ডোট ব্লগারের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url