""

নাপা সাপোজিটরি ১২৫ ব্যবহার

নাপা ১২৫ মি. গ্রা. সাপোজিটরি একটি বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড এর প্রোডাক্ট। এটি জ্বর, সর্দি জ্বর, ইনফলুয়েঞ্জা, মাথা ব্যাথা, দাতে ব্যাথা, কানে ব্যথা, স্নায়ু প্রদাহজনিত ব্যথা, ঋতুস্রাবজনিত ব্যথা, মচকে যাওয়া ব্যথা,অন্ত্রে ব্যাথা, পিঠে ব্যাথা, অস্ত্রোপচার পরবর্তী ব্যাথা, প্রসব পরবর্তী ব্যাথা, প্রদাহ জনীত ব্যাথা, এবং শিশুদের টিকা পরবর্তী ব্যথায় কার্যকরী। এটি বাতজনিত অস্টিওআর্থ্রাইটিসজনিত ব্যাথা এবং অস্থিসংযোগ সমূহের অনমনীয়তায় কার্যকরী। আপনি এই ঔষধটি ডাক্তারের পরামর্শ অনুসরন করে ব্যবহার করতে পারেন।

image

পোস্টসূচিপত্র: নাপা সাপোজিটরি ১২৫ ব্যবহার। নিচের যে অংশ থেকে পড়তে চান ক্লিক করুন।

 নির্দেশনা  

নাপা জ্বর, সর্দি জ্বর,ইনফলুয়েঞ্জা, দাতে ব্যাথা, কানে ব্যাথা, শরীর ব্যথা, স্নায়ু প্রদাহজনিত ব্যথা,ঋতুচাপ জনিত ব্যথা,মচকে যাওয়া ব্যথা,অন্ত্রে ব্যথা,পিঠ ব্যথা,অস্ত্রোপচার ব্যথা,প্রসব পরবর্তী ব্যথা,প্রদাহজনিত ব্যথা এবং শিশুদের টিকা ব্যথায় কার্যকরী। এটি বাতজনিত ও অস্টিওআর্থ্রাইটিসজনিত ব্যথা,এবং অস্থিসংযোগ সমূহের অনমনীয়তায় কার্যকরী।

ফার্মাকোলজি   

প্যারাসিটামলের ব্যথা নাশক এবং জ্বর উপশসক গুনাবলির সাথে কিছুটা প্রদাহবেরোধী কার্যকারিতাও রয়েছে।প্যারাসিটামল ( অ্যাসিটামিনোফেন) প্রাথমিকভাবে সিএনএসে কাজ করে বলে মনে করা হয়,ইহা প্রোস্টাগ্লান্ডিন এর সিনথেসিস কে ইনহিবিট করার মাধ্যমে Cox-1, cox-,2 cox-3, এনজাইম এর সিনথেসিস কে ইনহিবিট করে। প্যারাসিটামল একটি প্যারা এমিনফেনল  ডেরিভেটিভ, যার ব্যথা নাশক ও উপশমক গুনাবলির সাথে কিছুটা প্রদাহ বিরোধী কার্যকারীতা রয়েছে। প্যারাসিটামল সর্বাপেক্ষা বেশি ব্যবহিত এবং সর্বাপেক্ষা বেশি নিরাপদ ও দ্রত কার্যকারী ব্যথানাশকদের একটি। এটি অধিক সহনশীল এসপেরিনজনিত অনেক  পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ামুক্ত।

মাত্রা ও সেবন বিধি

ট্যাবলেট:
  • প্রাপ্তবয়স্ক: এক থেকে দুইটি ট্যাবলেট চার থেকে ছয় ঘন্টা পর পর দিনের সর্বোচ্চ ৮ টি ট্যাবলেট।
  • শিশু ( ৬ - ১২ বছর) আধা থেকে ১ টি দিনে তিন থেকে চার বার।
সিরাপ এবং সাসপেনশন:
  • শিশু (৩ মাসের নিচে): ১০ মি.গ্রা. হিসাবে ( জন্ডিস থাকলে ৫ মি.গ্রা হিসাবে দিনে ৩-৪ বার।
  • ৩ মস- ১ বছরের নিচে: ১/২ থেকে ১ চা চামুচ দিনে ৩-৪ বার।
  • ১ - ৫ বছর: ২-৪ চা চামুচ দিনে ৩-৪ বার।
  • ৬-১২ বছর: ২-৪ চা চামুস দিনে ৩-৪ বার।
  • প্রাপ্তবয়স্ক: ৪-৮ চা চামুস দিনে ৩-৪ বার।
এক্স আর ট্যাবলেট:
  • প্রাপ্তবয়স্ক এবং ১২ বছরের উর্ধে শিশুদের ক্ষেত্রে: ২ টি ট্যাবলেট প্রতি ৮ ঘন্টা পর পর, সর্ব্বোচ মাত্রা দৈনিক ৪ গ্রাম(৬ টি ট্যাবলেট)
  • দীর্ঘ মেয়াদি ক্রমাগত চিকিৎসার ক্ষেত্রে: দিনে ২.৬ গ্রাম ( ৪টি ট্যাবলেট) - এর বেশি সেবন করা উটিত নয়।
সাপোজিটরি:
  • ৩মাস- ১ বছরের নিচে: ৬০-১২০ মি. গ্রা. দিনে চার বার।
  • ১-৫ বছর: ১২৫-২৫০ মি. গ্রা. দিনে ৪ বার।
  • ৬- ১২ বছর শিশুদের ক্ষেত্রে: ২৫০-৫০০ মি. গ্রা. দিনে ৪ বার।
  • প্রাপ্ত বয়স্ক ও ১২ বছরের বেশি বয়সের শিশুদের জন্য: ০,৫-১ গ্রাম দিনে ৪ বার।
পেডিয়াট্রিক ড্রপস: 
  • ৩ মাস বয়স পযন্ত: ০.৫ মি. লি. ( ৪০ মি. গ্রা.) দিনে ৪ বার। 
  • ৪-১১ মাস বয়স পর্যন্ত: ১ মি. লি ( ৮০ মি. গ্রা.) দিনে ৪ বার।
  • ১-২ বছর বয়স পর্যন্ত: ১.৫ মি. লি ( ১২০ মি গ্রা.) দিনে চার বার।
* চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক ঔষধ সেবন করুন

ঔষুধের মিথষ্ক্রিয়া

বারবিচুরেট ও বিষন্নতারোধী ট্লাইসাইক্লিক জাতীয় ঔষধ গ্রহনকারী এবং এলকোহল পান কারি রোগিদের ক্ষেত্রে অধিক মাত্রায় সেবন করলে নাপোর বিপাক কমে যেতে পারে। এলকোহল মাত্রাধিকভাবে সেরন কৃত নাপা দ্বারা সৃষ্ট রিভারের বিষক্রিয়া আরো বারিয়ে দিতে পারে। খিচুনি বিরোধী ্ওষধ এবং স্টেরয়েজাতীয় জন্মনিরোধকের দীর্ঘ মেয়াদি লিভার এনজাইমকে প্রাণদিত করে ফেলে এ জাতীয় ঔষধের সাথে একত্রে গ্রহনে ফাস্ট- পাস বিপাক ত্বারান্বিত এবং নাপোর কার্যকারী মাত্রা ীর্জন ব্যবহিত হয়। 

প্রতির্নিদেশনা

প্যারাসিটামল বা এটির কোনো উপাদানের প্রতি অতিসংবেদনশীল রোগিদের ক্ষেত্রে ইহা প্রতিনির্দেশিত।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

রক্তের উপাদানের উপর যৎসামান্য প্রভাব থাকলেও  সাধারনত নাপোর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া খুবি কম। কিছু কিছু ক্ষেত্রে অগ্নাশয়ের প্রদাহ,চামড়ায় ফুসকুড়ি ও অন্যান্য এলার্জি দেখখা দিতে পারে। 

গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে

মানব গর্ভাঅবস্থায় এপিডেমিওলজিকাল গবেষনায় প্রস্তাবিত মাত্রায় প্যারাসিটামল ব্যবহার করার কারণে কোনো খারাপ প্রভাব দেখা যায়নি। তবে রোগিদের উচিত ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলা। প্যারাসিটামল বুকের দুধে নির্গত হয়, কিন্তু চিকিৎসাগতভাবে উল্লেখযোগ্য পরিমানে নয়। উপলব্ধ প্রকাশিত ডেটা স্তন্যপান করানোর প্রতি বিরধিতা করে না । 

সর্তকতা

গুরুতর কিডনি বা গুরুতর হেপাটিক বৈকল্যযুক্ত রোগিদের নাপা ব্যবহারে যন্ত নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। যারা নন-সিরোটিক অ্যালকাহল যুক্ত লিভার রোগে আক্রান্ত তাদের ওভারডোজের ঝুকি বেশি। নির্ধারিত মাত্রা অতিক্রম করা যাবে না। রোগি দের একই সাথে অন্যান্য নাপাযুক্ত পন্য বর্জন করা উচিত। নাপা শুধুমাত্র সেই রোগিদের দ্বারা ব্যবহার করা উচিত যার জন্য এটি নির্ধারিত হয়।

মাত্রাধিক্যতা

যারা ১০ গ্রাম বা তার অধিক নাপা গ্রহন করেছেন তাদের যকৃতের ক্ষতি হতে পারে। ৫ গ্রাম বা তার বেশি নাপা গ্রহন করলে লিভারের ক্ষতি হতে পারে, যদি রোগির নিম্নোক্ত ঝুকির কারন থাকে: রোগি যদি কার্বামাজেপাইন, ফেনোবারবিটোন, ফেনাইটোইন, প্রিমডন, রিফাম্পিসন, সেন্ট জনস ওয়ার্ট বা লিভারের এনজাইমগুলিকে প্রচারিত করে এমন অন্যান্য ঔষধ দিয়ে দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা করা হয়, বা নিয়মিত ভাবে সুপারিশকৃত পরিমানের চেয়ে বেশি ইথানল সেবন করিলে বা গ্লুটাথিয়নের ক্ষতি হতে পারে যেমন খাবার ব্যাধি, সিস্টিক ফাইব্রোসিস, এইচআইভি সংক্রমন, অনাহার ক্যাচেক্সিয়া।

লক্ষন প্রথম ২৪ ঘন্টার মধ্য নাপা ওভারডোজের লক্ষনগুলি হলো ফ্যাকাশে, বমি বমি ভাব, ক্ষুদা মন্দা এবং পেটে ব্যাথা। খাওয়ার ১২ থেকে ৪৮ ঘন্টা পরে লিভারের ক্ষতি স্পষ্ট হতে পারে। গ্লুকজ বিপাক এবং বিপাকিয় অ্যাসিডোসিসের অস্বাভাবিকতা ঘটতে পার। গুরুতর বিষক্রিয়ায় হেপাটিক ফেইলর এনসেফালোপ্যাথি, রক্তক্ষরণ, হাইপোগ্লাইসেমিয়া, সেরিব্রাল শোথ এবং মৃত্যুর দিকে অগ্রসর হতে পারে। তীব্র টিউবুলার নেক্রোসিসের সাথে তীব্র রেনাল ফোইলর, কটি ব্যাথা, হেমাটুরিয়া এবং  প্রোটিনুরিয়া দ্বারা জোরালোভাবে প্রস্তাবিত, এমনকি গুরুতর লিভারের অনুপুস্তিতিতেও বিকাশ হতে পারে।কার্ডিয়াক অ্যারিথমিয়াস এবং প্যানক্রিয়াটাইটিস রিপট করা হয়েছে। নাপা ওভারডোজের ব্যবস্থ্যপনায় তাৎক্ষনিক চিকিৎসা অপরিহার্য। সংক্রিয় কাঠকয়লা দিয়ে চিকিৎসা বিবেচনা করা উচিত যদি ১ ঘন্টার মধ্যে ওভারডোজ নিয়া হয়। প্লাজমা নাপোর ঘনত্ব পরিমাপ করা উচিত ৪ ঘন্টা বা তার পরে খাওয়ার পরে ( আগের ঘনত্ব অবিশ্বস্ত ছিল)। নাপা গ্রহনের ২৪ ঘন্টা প্রর্যন্ত N- acetylcysteine ‍দিয়ে চিকিৎসা ব্যবহার করা যেতে পারে। যাইহোক, সর্বোচ্চ প্রতিরক্ষামূলক প্রভাব ৪ ঘন্টা পরে খাওয়ার পরে পাওয়া যায়। এই সময়ের পরে প্রতিষেধকের কার্যকারীতা দ্রুত হ্রাস পাই। প্রয়োজনে রোগিকে নির্ধারিত ডোজ সময়সূচির সাথে সঙ্গতি রেখে শিরায় এন- এসিটাইলসিস্টাইন দেওয়া উচিত। যদি বমি সমস্যা না হয় তবে দুর্গম এলাকায়, হাসপাতালের বাইরে মৌখিক মেথিওনিন একটি উপযুক্ত বিকল্প হতে পারে। ইনজেশনের ২৪ ঘন্টা পরে গুরুতর হেপাটিক ডিসফাংশন সহ রোগিদের পরিচালনার বিষয়ে NPIS বা লিভার উনিটের সাথে আলচনা করা উচিত। 

সংরক্ষণ

আলো ও তাপ থেকে দুরে শুস্ক স্থানে রাখুন। শিশুদের নাগালের বাহিরে রাখুন।  

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ডোট ব্লগারের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url