আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা আমরা আজকে আপনাদের সাথে অতন্ত অজানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য শিয়ার করতে চলেছি। সেটা হচ্ছে ননী ফল গাছ আপনি কিভাবে পটিং করবেন? কিভাবে পরিচর্চা করবেন? ননী ফল খাওয়ার নিয়ম - ননী ফল এর উপকারিতা এই সমস্ত বিষয় আজকের এই পোস্টে আমরা জানবো। ধর্য ধরে পড়ুন আশা করছি এই পোস্টটি পড়ার পড়ে আপনি উপকৃত হবেন এবং এই ননী ফল গাছ নিজে চাষ করতে ইচ্ছে প্রসন করবেন। এই ননী ফল গাছ চাষ পরিচর্চা খুবি সহজ যে কেউ চাইলে করতে পারবে। তাহলে চলুন ননী ফল সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।
ননী ফল একটি আশ্চর্যজনক ফল যা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। এই ফলের রস সব থেকে বেশি প্রচলিত ও ব্যবহৃত হয়, তবে এই গাছের প্রতিটি অংশে আলাদা আলাদা ভাবে গুরুত্ব বহন করে।
ননী ফল খাওয়ার নিয়মঃ
ননী ফলটা আপনি কিভাবে খাবেন বা এর টেস্ট কেমন, এই ফলটা খাওয়ার প্রসেজ এবং এটার টেস্ট আমি মনে করেছি অবশই আপনাদের সামনে তুলে ধরার প্রয়জন আছে।
শুরুতে একটা কথা বলে দি ননী ফল পেকে গেলে কিন্তু গাছের ডালে আর ঝুলে থাকেতে পারে না। ফল টা টুলটুলে হয়ে পেকে গেলে টুপ করে মাটিতে পরে একেবারে গলে যায়। তো গাছ থেকে আমরা ননী ফল তখন ছিরবো যখন সাদা বা হালকা হলদে রং এর হবে। গাছ থেকে ফলটি ছিরে কাগজ বা পেপার দিয়ে সুন্দর করে মুরে রেখে দিব এবং দেখতে পাবো একদন বা দুুই দিন পরে ফলগুলো সব পেকে গেছে।
এবার ফলগুলো পাকার পরে আমরা কিভাবে খাবো সেটা আপনাদের কে দেখাবো কেননা এর সঠিক প্রসেজটা আমরা অনেকেই জানিনা বা অনেকে পাকা ফল টা খেয়ে দেখেছি খেতে ভালো লাগেনি বলে আমরা অনাদারে ফেরে দিয়েছি খুব বেশি খায়নি বা খেতে পারিনি। কিন্তু এই প্রসেজে যদি আপনারা খেতে পারেন তাহলে এই ননী ফলের যত রকমের উপকার আছে আপনি পাবেন।
ননী ফল খাওয়ার প্রথম প্রসেজে প্রথমে ননী ফলটা একটি বাটি বা পাত্রে নিতে হবে। এর পর সামান্য একটু পানি নিবেন এবং সুন্দর করে হাত দিয়ে ফলটি পাত্রের মধ্যে চটকে নিবো মানে আলু ভর্তা করার মত আর কি😊। তাছাড়া আরেক টা কাজ করতে পারেন এই ফলটি আপনারা ব্লেন্ডারে দিয়ে ফলের বিচিসহ একেবারে সুন্দর করে পেস্ট করে নিতে পারেন। আর যদি বাটিতে নিয়ে হাত দিয়ে করেন তাহলে এর বীজ বা বিচি গুলো সংরহ করতে পারবেন পরর্বতিতে বীজ লাগিয়ে গাছ পেতে পারেন যদি ভালো করে যন্ত নিতে পারেন। আর যদি মনে করেন না আপনার সময় কম বা বিচি লাগাবেন না তাহলে সেটা ত বললামি কি করতে হবে। সম্পন্ন রুপে গুলানো হওয়ার পরে এবার একটি গ্লাস নিবো এরপর এটা গ্লাসে ডেলে নিব আর গ্লাসে ডালার সময় অবশই ছাকনি ব্যবহার করবো। ছাকুনি দিয়ে ছাকার সময় দেখবেন সহজে পরতে চাইবে না গ্লাসে, হাত দিয়ে একটু নারা চারা দিয়ে ডেলে নিব জুচের মত করে।
এরপর আবার একটু খানি পানি নিয়ে নিবেন। আর একটা ননী ফল এক গ্লাসের জন্য যথেস্ট একটা ননী ফল এক গ্লাসে মিশাবেন। আমি আপনাদের কে বলেছিলাম এর টেস্ট টা কিন্তু একবারে বাজে মানে খাওয়া যায় না এমন। কারন এটার থেকে কেমন উঠকট গন্ধ আসে সে জন্য ননী ফল কারো ভালো নাও লাগতে পারে। আর সবার ভালো লাগানোর জন্য েএতে চিনি আড করে নিবো। এখন কতটুক চিনি দিবেন আপনার ইচ্ছা যে যেমন চিনি খান সে তেমন চিনি নিয়ে নিবেন। কিন্তু যাদের সুগার আছে ডায়বেটিস আছে তারা চিনি না দিয়ে একেবারে গলায় ডেলে টুক করে গিলে ফেলবেন। আবার অনেকে ফলটি পাকার পরে কাচের ড্রামের ভিতরে রেখে দায় ত সেখানে এই ননী ফলের গা থেকে নির্জাস িবেরিয়ে তলায় একরকম তরল জমা হয়। এই তরল কেউ কেউ এক গ্লাস পানিতে মিশিয়ে খেয়ে নেই। তবে দেখুন আমরা বাঙালি ত আমাদের স্বাদ টা অনেক বেশি আমরা অনেক কিছু সহ্য করতে পারিনা। ত সে জন্য গারান্টি দিয়ে বলছি ওই তরল টা আপনারা কখনই খেতে পারবেন না। তার কারন এতে একটা বাজে ধুরগন্ধ আসে। যার কারনে অনেকেই আপনারা ননী ফলটা খেতে পারেন না বা পারবেন না। এর পরেও বলছি এই ফলের টেস্ট নিতে জাবেন না, চিনি দিয়ে একেবারে ঢক করে খেয়ে নিবেন। আর হ্যা আবারও বলছি যাদের ডায়বেটিস আছে তারা চিনি ছারাই খাবেন অনেক বেশি উপকার পাবেন।
ননী ফল এর উপকারিতা
এবারে বলি যে এরকম বাজে খেতে একটা ফল এর কি কি গুন রয়েছে। যেকোনো ধরনের পরনো ব্যাথ্যা ডিটের ব্যাথ্যা, হারের ব্যাথ্যা, পিঠের ব্যাথ্যা যেকনো ধরনের ব্যাথ্যা যা কোনো ঔষধে ভালো হচ্ছে না সেই ব্যাথ্যা শারানোর ক্ষমতা রাখে এই ননী ফল। করসোল যেমন কান্সারের সেলগুলোকে নষ্ট করে তেমনি এই ননী ফল কান্সারের সেরগুলোকে নষ্ট করে এবং কান্সার বৃদ্ধি হতে দেই না নতুন করে নতুন করে কান্সার সেল তৈরি হতে দেই না সেরকম ক্ষমতা কিন্তু এই ননী ফলের আছে। এজন্য ননী ফল কে মহ ঔষধ হিসাবে ধরা হয়। ননী ফলের দাম কিন্তু অনেক বেশি এবং গাছের দামও বেশি। কিন্তু এখন আপনাদের কে বলি আপনি যে ছাকনি দিয়ে ননী ফলের রস বের করে নিলেন সেখান থেকে দেখবেন অনেক বীজ পাবেন। এই বীজ টা আপনারা অতিসহজে জারমেনিশান করে নিতে পারবেন। এই মহ ঔষধ গাছটা আপনি ত বাড়িতে লাগাবেনি এবং আপনার বীজ থেকে তৈরি হওয়া গাছ আপনার আসে পাশে বন্ধুদের বিলি করে দিবেন। তাহলে এই বিশেষ ফলের উপকার সবাই পাবে আর সবার মাঝে ছরিয়ে পরবে।
ননী ফল একটি আশ্চর্যজনক ফল যা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। এই ফলের রস সব থেকে বেশি প্রচলিত ও ব্যবহৃত হয়, তবে এই গাছের সমস্ত অংশে আলাদা আলাদা ভাবে গুরুত্ব বহন করে। নুনী ফলের রস ক্যান্সার সহ বিভিন্ন প্রকার সংক্রমণ জনিত রোগ, আথ্রাইটিস, মধুমেহ, হাপানি, উচ্চ রক্তচাপ, শারীরিক ব্যাথা, উপশময়ে ব্যবহৃত ওষুধের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান সমৃদ্ধ। বর্তমানে বিভিন্ন গবেষণা দেখা গেছে যে এই ফলে ক্যান্সার ফাইটিং নিউট্রিয়েট এবং টিউমার ফাইটিং উপাদান রয়েছে। বিশেষত এটি বের্স্ট ক্যান্সারের জন্য খুবই আসা জনক ফল দেখাচ্ছে। এই ফলের রস রক্ত পরিষ্কার ও নানান রকম দূষিত পদার্থকে শরীর থেকে বের করতে সহায়তা করে। হাড়ের সমস্যার ক্ষেত্রেও ননী খুবই উপকারী। যাদের হাঁটুর ব্যথা, গাটে গাটে ব্যথা বা অন্য কোন আথ্রাইটিস জনিত রোগে ভুগছেন তাদের জন্য এই ননী ফলের রস আশীর্বাদ স্বরূপ। যাদের অতিরিক্ত ইউরিক এসিড জনিত সমস্যা তারা এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ফলের রসের উপর ভরসা করতে পারেন।
ননী ফল কখন খাবেন?
ননী ফল দিনের যেকোনো সময় খেলে হবে না কারন এরও একটা নিয়ম আছে। এই ফল খানিকটা ঔষধ টাইপের ত সেজন্য সকাল বেলা খাবেন। সকাল বেলা কখন চা বিস্কুট খাওয়ার পরে মানে সকালে হাল্কা নাস্তা করার পরে। তাছাড়া আপনারা যদি খালি পেটে খেতে পারেন তাহলে সবথেকে বেশি উপকার পাবেন। তাহলে সকালে উঠে উপরে যে প্রসেজ দেখালাম ওই প্রসেসিং করে ফল খেয়ে নিবেন, তাহলে আপনি নিজেই অনুভব করবেন সারাটা দিন একটা আলাদা রকমের এনার্জি আপনার শরীরে কাজ করবে।
ডোট ব্লগারের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url