প্রতিনিয়ত নেট চালাতে গিয়ে আমরা একটা সমস্যা প্রায় ফেস করি, সেটি হচ্ছে রাউটারের
নেট ছেড়ে দেওয়া। অনেক আই এস পি আছেন যারা শুধুমাত্র এটাকে রাউটারে প্রবলেম মনে
করেন। আবার অনেক ইউজার আছে যারা এটাকে নেটের কানেকশনের প্রবলেম মনে করে, অর্থাৎ আই
এস পি এন্ডের প্রবলেম মনে করে।
পোস্টসূচীপত্রঃবাট বিষয়টাকে এতটাই সেপ্লিফাই করার কোন অবকাশ নাই। বেশ কিছু কারণ আছে এই
ঘটনার জন্য দায়ী। তার মধ্যে ইম্পর্টটেন্ট পাঁচটি কারণ আজকের পোস্টের মাধ্যমে
ব্যাখ্যা করব এবং চেষ্টা করব সমাধান দেওয়ার জন্য। আর বরাবরের মতোই আমি আপনাদের
সাথে আছি মোঃ বিপ্লব হোসেন। টোটাল সমাধান পাচ্ছেন আজকের এই পোস্টটিতে আপনাদের
সবাইকে জানাচ্ছি স্বাগতম।
ব্যান্ডউইথ স্বল্পতা
তো প্রথম যে সমস্যা সেটা হচ্ছে ব্যান্ডউইথ স্বল্পতা। প্রায় দেখবেন যে জন মিটিং এর
সময় আপনার ১০-১৫ এমবি লাইন থাকা সত্ত্বেও মিটিংটা ডিসকানেক্ট হয়ে যাচ্ছে,
লাইনটা ড্রপ হয়ে যাচ্ছে। এর কারণ টা কি? এর কারণ হচ্ছে বাসার
অন্যরাও একই সময় একই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে। একটি সময় হয়তোবা এইচডি অথবা ফোর
কে মুভি স্ট্রিমিং করতেছে, তাছাড়া দেখবেন কেউ অনলাইনে গেম খেলতেছে। আপনার এই যে
ব্যান্ডউইথ টা এতগুলো কাজ একসঙ্গে করার জন্য পর্যাপ্ত না। যদি আপনি অনেকগুলো ভারি
ভারি কাজ অনেকগুলো ডিভাইসে একসঙ্গে করতে থাকেন। তাহলে দেখবেন যে আপনার সামগ্রিক
ব্যান্ডউইথ এর স্পিড কমে গেছে। সোজা কোথায় হচ্ছে ব্যান্ডউইথ এর তুলনায়
আপনার ইউজারস যখন বেড়ে যাবে, ডিভাইসের সংখ্যা যখন বেড়ে যাবে। তখন দেখবেন আপনার
এই প্রবলেমটা রেনডম্লি করতে থাকবে।
সমাধানঃ
এমনও আছে যে আপনার রাউটার আপনার মোবাইল ফোন থেকে ওয়াইফাই এর সংযোগটা বিচ্ছিন্ন
করে দিচ্ছে। তো এই সমস্যার পসিবল সমাধানটা হচ্ছে, আপনার বাসায় কয়টা বিভাগ আছে।
প্রত্যেকটা ডিভাইস দিয়ে আপনি কি কি কাজ করবেন এবং কোন কাজের জন্য কতটা
ব্যান্ডউইথ লাগবে, সেটা ক্যালকুলেশন করে আপনি আপনার আইএসপির থেকে ব্যান্ডউইথ টা
কিনবেন।
খারাপ ONU এবং MC
দ্বিতীয় কারণটা হচ্ছে ফলটি ONU এবং ফলটি MC ইউজ করার কারনে। আপনার ONU যদি কোন
প্রবলেম থাকে তাহলে দেখবেন সেটা ONT মেশিনের সাথে সংযোগটা সেটা কন্টিনিউ করতে
ব্যর্থ হবে। এবং ঠিক তখনই দেখবেন যে আপনার রাউটারে আর নেট সংযোগ পাচ্ছে না। তো
আপনার মনে হবে
রাউটার থেকে নেট আসতেছে না। আসলে রাউটারে নেট ওএনইউ এর কাছ থেকে
পাচ্ছে। সেহেতু অনু আপনার লাইন ছেড়ে দিয়েছে, সুতরাং রাউটারটাও
অটোমেটিক্যালি লাইনটা ছেড়ে দিবে। অনু যদি খুব বেশি পুরাতন হয়ে যায় তাহলে এমন টা
হতে পারে। ফাইবার অপটিক কেবল থেকে যদি প্রচুর পরিমাণে ডাটা লস হয় তাহলে এমনটা
হতে পারে। এছাড়াও নেটওয়ার্কের মধ্যে থাকা আরও যে সকল ডিভাইস গুলো রয়েছে যেমন
ধরেন, ইসক্লিটার। এগুলোর কারণেও যদি লেজার খুব বেশি দুর্বল হয়ে যায়। তাহলে অনু
আপনার সার্ভারের সাথে লিংক ছেড়ে দিতে পারে।
এখন অণুতে ঝামেলা করুক আর যেখানেই ঝামেলা করুক ঘুরে ফিরে ব্যাপারটা কিন্তু
রাউটারের ঘারের উপরে এসে পরতিছে। MC ক্যানেকশনের বেলাতেও ব্যাপারটা কিন্তু একিই
রকমের হয়।
সমাধানঃ
তো প্রথম সমাধান টা হচ্ছে ভালো ব্যান্ডের অনু ইউজ করা। আর যদি ভালো
ব্যান্ডের অনু থেকে থাকে। তাহলে প্রাথমিকভাবে যেটা করতে পারেন সেটা হচ্ছে, অনুর
ভিতরে যে ফাইবার অপটিকের প্যাচকট টা ঢুকেছে সেটা সাময়িক ভাবে খুলে রেখে দুই চার
সেকেন্ড ওয়েট করেন। তারপর আবার সেটিকে জায়গা মত ইনসার্ট করেন। তো এতে যেটা
হবে, আপনার অনুটা মূল সার্ভার এর সাথে কমপ্লিটলি লাইনটা ছেড়ে দিয়ে আবার
নতুন করে লিংক স্টাবলিস্ট করবে। তখন দেখবেন যে আবার ঠিকভাবে চলতেছে। আর এই অনু
থেকে লাইন ছেড়ে দেওয়ার ব্যাপারটা যদি আপনার সাথে থ্রি কোয়েন্ডি ঘটতে থাকে।
তাহলে আপনার অনুটা চেঞ্জ করতে হবে।
তো সেক্ষেত্রে আপনি আপনার আইএসপির সঙ্গে কন্টাক করবেন। যে আপনার ONT মেশিনটা
কিরকম আমাকে বলেন। আমি সেই হিসাব করে একটি অনু এনে আপনাকে পারচেজ করে দিচ্ছি।
আপনি কাইন্ডলি আমার বাসায় এসে এটাকে লাগিয়ে দিয়ে যান এবং কনফিগার করে দিয়ে
যান।
ডাটার ধীর গতি
এর পরের কারণটা হচ্ছিল ডাটা রেট। তো ডাটা রেট জিনিসটা কি সেটা আগে ক্লিয়ার
করি, একটা দি-ডাটা রেট হচ্ছে, ব্যান্ডউইথ এ থাকা ডাটার নিজস্ব গতি। ফর
এক্সাম্পল- ফাইবারের ভিতর থেকে একটি ডাটা প্রায় আলোর গতির সমান গতিতে
ট্যার্গেল করতে পারে। তো ছোট ছোট প্যাকের ডাটা গুলোর গতি থাকে বেশি আর
বড় বড় প্যাকের ডাটা গুলোর গতি থাকে অত্যন্ত কম। তো এই ছোট ডাটা কত দ্রুত যাবে
এবং বড় ডাটা কত আছতে যাবে সেটা ডিপেন্ড করবে, আপনার যে ফাইবারের করের কুয়ালিটি
অর্থাৎ ফাইবারের যে কোরটা থাকবে ভিতরে কোড়ের কোয়ালিটি কতটা ভালো তার ওপর। এর
কোয়ালিটি ডিসাইড করবে যে আলোর কতটা সম্মানের গতিতে ডাটাগুলো একপাশ থেকে আর এক
পাশে ট্রান্সফার হবে। ফাইবারের পরের কোয়ালিটি যত ভালো থাকবে ডাটাগুলো তত আলোর
কাছাকাছি গতিতে ট্রাভেল করতে পারবে। এখন আপনারা জিজ্ঞেস করতে পারেন কোর কি?
লো কোয়ালিটির ফাইবার ক্যাবল অথবা পুরনো ফাইবার ক্যাবল যেগুলোর কোর অলরেডি
বিভিন্ন জায়গায় ভাজ টাজ খেয়ে অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে। সে ধরনের ক্যাবেলের ভিতর
থেকে আলো আসলে ঠিকভাবেই রিফেক্টেড হয়ে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় ট্রান্সফার
হতে পারে না। ফলে ডেটার অবস্থাটাও একই রকমই হয়। যে সেগুলো ঠিকমতো আলো দ্বারা
ট্রান্সফার হতে পারে না। ফলে আপনার লাইনের ডাটা রেট অত্যন্ত কম থাকবে। কিছু কিছু
রাউটার দেখবেন যে লালবাতি শো করে দেয়। তো এর মেইন কারণটাই হচ্ছে আপনার লাইনে
ডাটা রেট খুবই কম। যার কারনে হয় কি সে ঠিকভাবে লিংক টা ইট্রাবলিস করতে পারে না।
বিশেষ করে Ai বেশি আছে অথাৎ Artificial intelliGence যেসব রাউটারের মধ্যে বেশি
থাকে যারা কিনা। অটোমেটিক্যালি ভালো লিংক ধরতে পারে ওরা দেখবেন এসব ফলটি লাইনে
প্রবলেমে পরবে।
সমাধনঃ
যদি দেখেন রাউটার টা লাইন বার বার ছেরে দিচ্ছে। তাহলে অবশ্যই আপনার আইএসপি কে
ডেকে আপনার লেজারটি টেস্ট করবেন, যে সেটা আসলে কতটা মাইনাসের দিকে গেছে।
ক্রটিপূর্ণ রাউটার
৪ নম্বার যে সমস্যাটির কথা বলবো ফলটি রাউটার অথবা ইনক্যাবলবিবি রাউটার। তো
ইনক্যাপলবিবি রাউটারের ভিতরে বিভিন্ন কারনে হতে পারে। সেটা আপনার রাউটারের ভিতরে
যদি ফলট থাকে বা রাউটারটা বেলি পুরাতুন হয়ে গেলে অথবা যে রকম আপনার ইউজেস তার
তুলনায় রাউটার। তখন দেখবেন রাউটারটা নতুন থাকা সর্তেও দেখবেন রাউটার ইনক্যাপাবেল
হয়ে গেছে। তখন রাউটারটা পরনো বাজে রাউটারের মত আচরন করতেছে। আপনি যখন একটি
বিলোইসট্যানডারের রাউটার চালাবেনএবং আপনার ডিভাইস যখন অনেক হাই থাকবে। তখন
রাউটারের উপর এমনিতেই এক প্রকার পেসার এসে পরবে এবং তার ফলটি হবে ওই রাউটারটি নেট
ছেরে দিবে। এখন কোন মোবাইল ফোন কে রাউটার ছেরে দিবে আর কোনটাকে সে কানেক্টট
রাখবে। সেটা ডিফেন্ট করবে আপনার কোন মোবাইলটা কত ভালো ব্যান্ডউইথে বা কত ভালো
লিংক ইসপ্রিডে আপনার রাউটারের সঙ্গে সংযুক্ত আছে।
সমাধানঃ
আপনার রাউটার যদি খুব বেশি পুরোতন হয় তাহলে কোনো কথা ছারাই রাউটার টা চেঞ্জ করতে
হবে, এতে কোনো অবকাশ নেই। তা না হলে আপনার ভগান্তের কোনো শেষ থাকবে না। আর আগের
রাউটার যদি মাল্টিফ্যাংশনাল রাউটার হয়। অথাৎ সেটার মধ্যে যদি রিপিটর বা
রেঞ্জএক্সটেন্ডার থাকে। তাহলে ফেলে দিয়েন না, রেখে দেন। নতুন একটা রাউটার কিনেন
পরে ওইটাকে আপনি চাইলে রিপিটর বা রেঞ্জএক্সটেন্ডার মডে নতুন টার সাথে চালইতে
পারবেন।
কখন প্রবলেমটা করে ?

একটা জিনিস আপনাকে অবশ্যই নোটিস করতে হবে সেটা হচ্ছে, এই যে প্রবলেম টা নেট ছেড়ে
দেওয়া এটা আসলে কখন করে? এটা কি পিক আউয়ারে করে নাকি অলোয়েজ করে। তো ধরতে পারাটা
খুবি ইম্পটেন্ট একটা ব্যপার কিন্তু খুব সহজ। যদি প্রবলেমটা পিক আউয়ারে করে অর্থাৎ
সন্ধা ৭ টা থেকে রাত ১২ টার ভিতরে তাহলে আপনি ধরে নিতে পারেন যে এটা মোটামোটি
আপনার রাউটারের সমস্যা না। আর যদি আপনার রাউটার ভালো ইসট্যান্ডার্ট হয় তাহলে
ডেফিনেটলি ইপনার রাউটারের সমস্যা না। তাহলে সমস্যা টা কোথায়? সমস্যা টা হলো আপনার
ব্যান্ডউইথে। এখানে দুইটা জিনিস হতে পারে একটা হচ্ছে, আপনি আপনার প্রয়োজন মত
আপনার চাহিদা মত ব্যান্ডউইথ নেন নাই, ব্যান্ডউইথ কম নিছেন অথবা আপনার ডিভাইজ
গুলোর যে কাজ সে অনুসারে ব্যান্ডউইথ আপনার নেওয়ার কথা সে পরিমান ব্যান্ডউইথ আপনি
কেনেন নাই। কিনছেন তার কম অথবা এর উল্টাও হতে পারে, যে আইএসপির ওভারঅল
ব্যান্ডউইথে পেসার বেরে গেছে। এখন এই যে ব্যান্ডউইথের উপর পেসার টা দুইটা কারনে
বারতে পারে এক হচ্ছে, আএসপির কার এবং রাউটারের কারনে। বাসার ভিতর থেকে দেখবেন যে
দুই একটা ডিভাইজ নেট কানেকশন ছেরে দিছে। এখন কোন দুই একটা ডিভাইজ ছাড়বে সেটা
ডিপেন্ড করবে আপনার রাউটারের উপর। যে রাউটার আপনার কোন ডিভাইজের সাথে সঠিক ভাবে
কাণেকশন মেইনটেন করতে পারছে না অথবা রাউটার যে ব্যান্ডউইথ এর সাথে আপনার
ডিভাইজটিকে কানেক্ট করছে, সেই ব্যান্ডউইথটা কোনো কারনে কমে গেছে। সেটা দূরত্বের
কারনে হতে পারে অথবা মোবাইল ফোনের যে সিং এর জন্য হতে পারে।
সমাধানঃ
তো এই ক্ষেত্রে সমাধান দিয়া এতটা ইজি না। আইএসপিদের উচিত খুব ভালো করে হিসাব
নিকাশ করে আসলে লাইনগুলো দাওয়া। যাকে উনি লাইন দিচ্ছেন তার কয়টা ডিভাইজ চলবে এবং
সেগুলি দ্বরা কি কি কাজ চলবে সে অনুযায়ি এন্যালইসিস করে কতটা ব্যান্ডউইথ লাগবে
ক্যালকুলেশান করে যোক করে তারপর তাকে ব্যান্ডউইথ প্রোবাইড করা। আর যে লাইন টা
নিচ্ছে, গ্রাহক তারও উচিৎ কি কি চালাবে তার কতটা ডিমান্ড আছে, আপনার ব্যান্ডউইথের
সেগুলো ক্যালকুলেশান করে আইএসপির কাছে ডিমান্ড করা। তো ব্যান্ডউইথের এই
কথাগুলো পরবর্তি ঝামেলা এরানোর জন্য যারা কানেকশন দিচ্ছে আর যারা কানেকশন নিচ্ছেন
তাদের মধ্যে ভালো হিসাব নিকাশের মাধ্যমে ব্যাপার টা হওয়া উচিত। আর এসব হিসাব
প্রথম থেকে করে নিয়া উচিৎ। তো কোন কোন বিষয় গুলোতে আপনাদের ক্লিয়ার হতে হবে এবং
সেগুলো আপনারা কিভাবে ক্লিয়ার হতে পারেন।
Wi-Fi এর বৈশিষ্ট্য
ওয়াই-ফাই যোগাযোগ ব্যবস্থায় উচ্চ ফ্রিকোয়েন্সী রেডিও ওয়েব ব্যবহার করা হয়।
WiFi ব্যবহার করে একই সাথে একাধিক কম্পিউটারে ইন্টারনেট সংযোগ দেয়া যায়।
এটি ওয়ারলেস Local Area Network IEE802.11 এর জন্য (Institute of Electrical
and Eletromics Enginners) প্রণীত স্ট্যান্ডার্ড।
কর্ডলেস টেলিফোনের ন্যায় বিভিন্ন পোর্টেবল ডিভাইস ও ফিক্সড ডিভাইসের
নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রে এটি ব্যবহৃত হয়।
এর কাভারেজ এরিয়া একটি কক্ষ, একটি ভবন কিংবা কয়েক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে হতে
পারে।
হটস্পট গুলোতে এটি ব্যবহার করা যায় এবং এর কাভারেজ খুব বেশি এলাকায় পাওয়া যায়
না।
ওয়াই-ফাই পণ্যসমূহ ওয়াইফাই এলায়েন্স কর্তৃক সনদ প্রাপ্ত।
WiFi এর প্রকারভেদ (Different types of WiFi technologies)
চলুন এখন নিচে আমরা ওয়াইফাই প্রযুক্তির বিভিন্ন প্রকার গুলোর বিষয়ে জেনেনেই।
IEEE 802.11a: ১৯৯৯ সালে IEEE দ্বারা তৈরি করা হয়েছিল যেটা ১১৫ ফুট দূরত্ব পর্যন্ত
কাজ করবে। এই WiFi network টি 54 Mbps গতিতে কাজ করতে পারে।
IEEE 802.11b: ১৯৯৯ সালে সাধারণ ভাবে ঘরোয়া ব্যবহারের উদ্দেশ্যে এটা তৈরি করা
হয়েছিল যেটা 11 Mbps গতিতে ১১৫ ফুট পর্যন্ত কাজ করবে।
IEEE 802.11g: ২০০৩ সালে 802.11a এবং 802.11b দুটোকে মিলিয়ে এই 802.11g তৈরি করা
হয়েছিল। এর গতি 54 Mbps এবং এই নেটওয়ার্ক ১২৫ ফুট পর্যন্ত কাজ করবে।
IEEE 802.11n: Dual band router গুলোতে কাজ করার জন্য এটাকে আনা হয়েছিল। এর data
transfer করার ক্ষমতা হলো 54 Mbps এবং ২৩০ ফুট পর্যন্ত কাজ করে। ২০০৯ সালে
তৈরি করা হয়েছিল।
IEEE 802.11ac: এটাও ২০০৯ সালে তৈরি করা হয়েছিল যার গতি 1.3 Gbps এবং ১১৫ দূরত্ব
কভার করতে পারবে।
তাহলে দেখলেন তো, WiFi network এর আলাদা আলাদা প্রকার ও ক্ষমতার বিষয়ে।
প্রত্যেক আলাদা আলাদা ধরণের WiFi network গুলোর speed এবং দূরত্ব কভার করার
ক্ষমতা আলাদা আলাদা হতে পারে।
ওয়াইফাই কি? ( wi-fi কি )
Wi-fi এর পুরপূর্ণ রুপ হলো "Wireless Fidelity" ওয়াইফাই এমন একটি জনপ্রিয়
টেকনোলজি যা হাই স্পিড ইন্টারনেট এবং নেটওয়ার্ক কানেকশন দেওয়ার জন্য রেডিও
সিগন্যালের ব্যবহার করে। John O Sullivan ও John Deane ১৯৯১ সালে
ওয়াইফই এর আবিষ্কার করেছিলেন। আসলে এটি একটি ওয়ারলেস নেওয়ার্কিং সিস্টাম
যাকে WLAN বলা হয়। WLAN এর পূর্ণরুপ হলো Wireless Local Area Network ।
এটি এমন একটি টেকনোলজি যার সাহায্য আমরা আজকে সহজে নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট
ব্যাবহার করতে পারছি। যার সাহায্যে আমরা মোবাইল, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, এর মত
ডিভাইজ গুলোকে ইন্টারনেটর সাথে যুক্ত করতে পারছি।
সাধারনত এই টেকনোলজি LAN ( Local Area Network ) এর অন্তর্গত হয়ে থাকে অর্থাৎ এই
নেটওয়ার্ক এর পুরধি কম জায়গার মধ্যে সিমাবদ্ধ থাকে। ফলে আমরা সিমিত জায়গার মধ্যে
ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত হতে পারি, শুধু ইন্টারনেট নয় এখন তো বেশ কিছু এন্ড্রয়েড
এপ্লিকেশন রয়েছে যারা ওয়াইফাই এর সাহায্যে ডেটা ট্যান্সফর করে থাকে যেমন
SHAREIT , XENDER
ওয়াইফাই এর নাম Hi-Fi অর্থাৎ Hi Fidelity। ওয়াইফাই এমন একনলজি যার মাধ্যমে যে
কোন কম্পিউটার বা ল্যাপটপকে ওয়ারলেস কানেক্ট করা যায়। বর্তমানে যত ধরনের
স্মার্ট ফোন ল্যাপটপ প্রিন্টার ও কম্পিউটার রয়েছে সেই সবগুলোর মধ্যে একটি
ওয়াইফাই চিপ থাকে। যার সাহায্যে আমাদের ডিভাইস কে আমাদের রাউটারের সাথে কানেক্ট
করি এবং ইন্টারনেট ব্যবহার করি।
ওয়ারলেস রাউটারের মাধ্যমে ওয়াইফাই যেকোনো ডিভাইসের সাথে কানেক্ট হতে পারে এবং
ইন্টারনেট এক্সেস করতে পারে। কিন্তু রাউটারকে ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত করার জন্য
কেবল এর প্রয়োজন হয় যে কেবলটি আইএসপি সাথে যুক্ত থাকে।
এছাড়া আজকাল বাজারে বিভিন্ন ধরনের Hotspot ডিভাইস পাওয়া যায়। যার
মাধ্যমে অনেকগুলো ডিভাইস ওয়াইফাই এর সাথে যুক্ত হতে পারে।
Wi-Fi কিভাবে কাজ করে
ওয়াইফাই টেকনোলজিতে এমন একটি ডিভাইস থাকে যা ওয়্যারলেস সিগনালকে ট্রান্সমিট করে
যেটাকে আমরা ওয়াইফাই রাউটার বা হটস্পট বলে থাকে। এখানে ওয়াইফাই রাউটার কোন
আইএসপির সাথে যুক্ত হয়ে ইন্টারনেটকে তরঙ্গে পরিণত করে এবং এই ওয়াইফাই
রাউটার এর সংলগ্ন সকল ডিভাইস ওয়াইফাই এর মাধ্যমে কানেক্ট হয় এবং এটি ছোট
ওয়াইফাই এরিয়া নেটওয়ার্ক সিগন্যাল তৈরি করে যেটাকে Wi-Fi Zone বলা হয়।
যদি আপনারা রেলওয়ে স্টেশন, রেস্টুরেন্ট, কপিশপে জান তাহলে আপনারা নিশ্চয়ই
ফ্রী ওয়াইফাই এরিয়ার জন দেখেছেন বা ওয়াইফাই ব্যবহার করেছেন। এছাড়া এমন
কিছু শহর রয়েছে যেখানে সরকার ওয়াইফাই এরিয়া জন বানিয়ে রেখেছে অর্থাৎ সেখানে
গিয়ে যে কেউ ফ্রিতে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারে।
Device গুলোর মধ্যে তথ্যের (information) আদান-প্রদান করার উদেশ্যে WiFi যেই
প্রক্রিয়াটিকে ব্যবহার করে সেটা হলো “নেটওয়ার্ক এর রেডিও তরঙ্গ“. মনে রাখবেন,
WiFi ব্যবহার করার আগে, আপনার computer, smartphone বা অন্যান্য device গুলোতে
একটি wireless adapter লাগানো থাকতেই হবে। আপনি নিজের কম্পিউটারে একটি wireless
adapter আলাদা করেও লাগাতে পারবেন। আর এই wireless adapter এর মূল কাজ হল
network এর মাধ্যমে গ্রহণ করা data বা information গুলোকে “radio signal” এর
রূপে প্রেরণ (transmit) করা। তাই বলা যেতে পারে যে, ওয়াইফাই যেকোনো অন্য
ওয়্যারলেস ডিভাইস (wireless device) এর মতোই কাজ করে। এখানে, সংযুক্ত থাকা
computer device গুলোর মধ্যে signal পাঠানোর জন্য radio frequencies এর ব্যবহার
করা হয়। Signal গুলোকে এন্টিনার মাধ্যমে ডিকোডার এর মধ্যে পাঠানো হয়। Signal
decoder কে আমরা router এর নামেও বলি। একবার সিগন্যাল গুলো রাউটার এর মাধ্যমে
ডিকোড হয়ে যাওয়ার পর সেগুলোকে ethernet connection এর দ্বারা internet এর কাছে
পাঠানো হয়। ঠিক এভাবেই, ইন্টারনেট থেকে ডাটা গ্রহণ করা ডাটা প্রথমেই রাউটার এর
মধ্যেই আসবে। এবং, রাউটারের মধ্যে ইন্টারনেট থেকে আসা প্রত্যেকটি ডাটা ডিকোড
হয়ে রেডিও সিগন্যালে রূপান্তর করা হবে। তারপর শেষে, ওয়াইফাই রাউটার এর সাথে
সংযুক্ত computer device গুলোতে থাকা wireless adapter, সেই রেডিও সিগন্যাল
গুলোকে গ্রহণ করবে।
Wi-fi চালাতে কি কি লাগে ?
WiFi চালাতে বা WiFi লাইন নিতে কি কি লাগে এই প্রশ্নের উত্তর বিভিন্ন
পরিস্থিতিতে বিভিন্ন রকমের হতে পারে। তবে, আমি ভেবে নিচ্ছি যে আপনারা ইন্টারনেট
ব্যবহারের উদ্দেশ্যে ওয়াইফাই কানেকশন নেওয়ার কথা ভাবছেন।
এবং, সেই ক্ষেত্রে আপনাদের লাগবে,
Modem: একটি সরাসরি ভাবে ইন্টারনেট এর সাথে সংযুক্ত হয়ে থাকে। মডেম fixed বা
wireless দুটো ভাবেই ব্যবহার করা যেতে পারে।
Router: একটি রাউটার এর কাজ হলো, মডেম থেকে তথ্য বা ডাটা সংগ্রহ করে সেগুলোকে
রেডিও সিগন্যালে ডিকোড করা। এবং, ডিকোড করা সেই সিগন্যাল গুলোকে কম্পিউটারের
ডিভাইসে প্রেরণ করা।
Wireless USB adapter: একটি wireless USB adapter আপনার কম্পিউটার ও ল্যাপটপে লাগাতে হবে। এই
wireless adapter, রাউটার থেকে ডিকোড হয়ে আসা তথ্য ও ডাটা গুলোকে গ্রহণ করে।
ফলে আপনি আপনার কম্পিউটার ডিভাইসে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারেন। বর্তমানে
আধুনিক অনেক মডেম বাজারে পেয়ে যাবেন যেগুলো রাউটার এবং মডেম দুটোর কাজ করে নিতে
পারে। তাই, আলাদা আলাদা করে modem এবং router কেনার প্রয়োজন আপনার হবেনা।
Wi-Fi এর সুবিধা সমূহ:
ওয়াইফাই রাউটার দিয়ে আপনি একাধিক ডিভাইসে একসাথে সংযোগ করতে পারেন। Wi-Fi এর
স্পীড খুব দ্রুত হওয়ার কারনে এর ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে জনসাধারণের
নিকট। আপনি যে কোনও স্থান থেকে ইন্টারনেট অ্যাক্সেস করতে পারেন(আপনার রাউটারের
সিগনাল অনুযায়ী)। ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ওয়াইফাই একটি জনপ্রিয়
ইন্টারনেট সংযোগ হিসাবে পরিচিত। কাঠামোগত ক্যাবলিং ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়াই আপনি
খুব সহজেই ওয়াইফাই ব্যবহার করতে পারবেন। ওয়াইফাই খুব দ্রুত এবং সহজ। ওয়াইফাই
সিস্টেম এবং এর প্রোটোকলগুলির প্রযুক্তিগত জ্ঞানের প্রয়োজন নেই। আপনি খুব
সহজেই টিপি-লিংক, ডি-লিংক, টেন্ডা ইত্যাদি থেকে খুব সাশ্রয়ী মূল্যে ওয়াইফাই
পেতে পারেন। বিভিন্ন ধরণের ডিভাইসে WIFI ব্যবহার করতে পারবেন যেমন: স্মার্টফোন,
ট্যাবলেট ডিভাইস এবং অন্যান্য পোর্টেবল ডিভাইস। ইন্টারনেট যে কোনও জায়গা থেকে
অ্যাক্সেস করা যায়। বাস, ট্রেন, কফি-শপ, সুপার মার্কেট ইত্যাদি। আপনি Wi-Fi
এক্সটেন্ডার ব্যবহার করে নেটওয়ার্কটি প্রসারিত করতে পারেন।
Wi-Fi এর অসুবিধা সমূহ:
ডেটা ট্রান্সফার রেট কমে যায় যখন ব্যবহারকারী বা ওয়াইফাই নেটওয়ার্কের
সাথে সংযুক্ত কম্পিউটারের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। ওয়াইফাই রাউটারে আমাদের
নেটওয়ার্কের পাসওয়ার্ড সুরক্ষিত করতে বিভিন্ন এনক্রিপশন পদ্ধতি রয়েছে।
আপনার ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড হ্যাক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ওয়াইফাই অ্যাক্সেস
প্রায় ৩০ থেকে ১০০ মিটার পর্যন্ত (যেমন ১০০ থেকে ৩০০ ফুট) সীমাবদ্ধ। অনেক
রাউটার সর্বাধিক ৩০ ডিভাইসকে সংযুক্ত করার অনুমতি দেয়। আপনি আরও ডিভাইস
যুক্ত করার সাথে সাথে ওয়াইফাই নেটওয়ার্কের ব্যান্ডউইদথ দুর্বল হয়ে যায়।
ওয়াইফাই এর কারণে মানুষের স্বাস্থ্য ক্ষতিও হতে পারে; যেমন: ক্যান্সার,
অনিদ্রা, অ্যাপোপটোসিস এবং গর্ভবতী মহিলাদের ওয়াইফাই রেডিয়েশনের বাইরে
থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। সঠিকভাবে সুরক্ষিত না করা হলে লোকেরা ব্যক্তিগত
নেটওয়ার্ক অ্যাক্সেস করতে পারে এবং তথ্য চুরি করতে এবং এমনকি খারাপ
উদ্দেশ্যে আপনার নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে পারে।
Wi-Fi এর অনেক সুবিধা এবং অসুবিধা দুটিই রয়েছে। তবে এর অনেক সুবিধা থাকার
কারনে, এই প্রযুক্তিটি বর্তমানে আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। সময়ের সাথে সাথে
Wi-Fi এর ব্যবহার কারীর সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছ এবং অদূর ভবিষ্যৎ এ Wi-Fi এর
ব্যবহার আরো ব্যাপক হরে বাড়বে বলে অনুমান করা যায়।
শেষ কথাঃ
ওয়াইফাই কানেক্ট কিন্তু নো ইন্টারনেট সমস্যাটির সমাধান করতে প্রাথমিকভাবে
ফোন রিবুট এবং রাউটার বন্ধ করার পর চালু করে দেখুন। এরপরেও যদি ঠিক না হয়
তাহলে উপরে দেওয়া পদ্ধতিগুল ফলো করুন।
আর উপরের সমস্ত পদ্ধতিও যদি ব্যর্থ হয় তাহলে আপনার আইএসপি এর সাথে যোগাযোগ
করুন।
dotbolgger
ডোট ব্লগারের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url